মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
মা খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন ছেলে তারেক রহমান। গত শুক্রবার লন্ডন সময় সন্ধ্যার পর অন্য দিনের মতো সেন্ট্রাল লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে স্ত্রীসহ মাকে দেখতে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। হাসপাতালের প্রবেশ পথে অপেক্ষমাণ সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মায়ের জন্য দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছেই এটাই বলবো, সন্তান হিসেবে ওনার জন্য দোয়া চাই। এদিকে গত শুক্রবার যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিভিন্ন শহরে মসজিদে বাদ জুমা দোয়া মাহফিল করা হয়। গত শুক্রবারও জুমার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের পদভারে মুখরিত ছিল সেন্ট্রাল লল্ডনে অবস্থিত দ্য লন্ডন ক্লিনিকের আশপাশের এলাকা। এ হাসপাতালেই অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসা চলছে খালেদা জিয়ার। তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ওনার হাসপাতালে আসার আগে থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হয়েছে। গত বুধবার রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসকরা তার এই অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করছেন। এমন তথ্য জানিয়ে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য গত শুক্রবার বলেছেন, ম্যাডাম সাত বছর পর লন্ডনে এসেছেন। এই হাসপাতালে এর আগে চিকিৎসা নেননি। দেশে অনেক ধকলের মধ্যে ছিলেন। এই অবস্থায় নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সময় লাগছে। লন্ডনে প্রচণ্ড ঠান্ডা চলছে। তিনি জানান, গত দুই দিন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। স্বাস্থ্যের কয়েকটি প্যারামিটার ফল করেছে। নতুন করে হার্টের কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। মেডিকেল বোর্ড এটা নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। খালেদা জিয়ার ফিটনেস (শারীরিক সক্ষমতা) বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ওই চিকিৎসক বলেন, লন্ডন ক্লিনিকে বললেই সবকিছু তাৎক্ষণিক হয়ে যায় না। সব প্রক্রিয়া মেনে করতে হয়। ম্যাডাম ছেলের বাসায়ও যেতে চাচ্ছেন। দীর্ঘদিন একটানা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকাও কষ্টের। এর আগে গত বৃহস্পতিবার লন্ডন ক্লিনিকের সামনে ব্রিফিংকালে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যগত সব পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পরই ‘লিভার প্রতিস্থাপনের’ সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ড। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ